Friday, December 21, 2012

সূর্যোদয় পরিবার

0 comments
    
                 উপদেষ্টা

            ১৷ আ.ত.ম জহিরল ইসলাম,

   ২৷ আব্দুল কাদের আহম্মেদ
 
প্রকাশক ও সম্পাদক

৩৷ আপেল বসুনীয়া

সহঃ সম্পাদক

৪৷ আব্দুর রহমান

বিজ্ঞাপন ম্যানেজার
 
৫৷ মোকাদ্দেস হোসেন

বিভাগীয় সম্পাদক

৬৷ ডাঃ লিয়াকত আলী খন্দকার

৭৷ জামেনা আক্তার

৮৷ শাহিনা পারভীন রেজভী

৯৷ পারল আক্তার

সদস্য সচিব
 
১০৷ ………..

সদস্য

১১৷ তকদিরা শিল্পী

১২৷ রেজওয়ানা পারভীন রজনী

১৩৷ উমাইয়া আক্তার আফসানা

১৪৷ ফাতেমা রহমান রিতা

১৫৷ রেজাউল ইসলাম রেজা

১৬৷ মিশু সুলতানা

১৭৷ আনিকা তাসনিম রিফাহ্‌

১৮৷ নাঈমা ফেরদৌসী

১৯৷ ইশারাত জাহান এ্যানী

২০৷ শারমিন সরকার লিজা

২১৷ মৃত্যুঞ্জয় সরকার

২২৷ আতাউর রহমান

২৩৷ জান্নাতুল ফেরদৌসী

২৪৷ এস.এম. জাহিদ

২৫৷ সাদেকুজ্জামান এ্যাপোলো

২৬৷ রেজওয়ানুল কারীম জামিল

২৭৷ ডাঃ এছার“ল হক

২৮৷ এম.এস.এস আনাস

২৯৷ রেজাউল ইসলাম

৩০৷ মাসুম সাজ্জাদ

৩১৷ মাহামুদুন্নবী শুভ






নতুন সদস্য

৩২৷ সুমি পারভীন

৩৩৷ মার“ফা আক্তার মিমি

৩৪৷ সাজ্জাদুর রহমান

৩৫৷ কায়মা হোসেন অদিথী

৩৬৷ আজিজুল নাহার তৃপ্তি

৩৭৷ রাবেয়া হক বিথী

৩৮৷ জেনেভা ইয়াসমিন জিসা

৩৯৷ ওয়ালিউর রহমান রিফাত

৪০৷ আসিফ বসুনিয়া

৪১৷ দিলশাত জাহান দিপ্তী

৪২৷ ইফফাত আরা প্রাপ্তী

৪৩৷ওয়াজীদা নাসরীন প্রান্—ী

৪৪৷শাহরীয়ার রহমান রাফসানী

৪৫৷ ইফতিয়ার আলম তুষার

৪৬৷ হার“ন উর রশিদ সৌরভ

৪৭৷ তাসনিমা আক্তার অভি

৪৮৷ মাহামুদা আক্তার

৪৯৷ জারনিমা জাহান জুশি

৫০৷ আনিকা তাবাছুম

৫১৷ নৌশিন শরমিলি কথা

৫২৷ আলিশা মৌ ইশা

৫৩৷ উম্মে আশফিকা আততীন

৫৪৷ শাহনাজ আক্তার সূচনা

৫৫৷ আরফিন জাহান উর্মিতা

৫৬৷ রিফাত হাসান পলাশ

৫৭৷ আবুল হাসনাত সাদ

৫৮৷ নিয়াজ মোরশেদ

৫৯৷ আশিকা আক্তার আইরিন

৬০৷ খাদিজাতুল কোবরা

৬১৷ আয়শা সিদ্দিকা মনি

৬২৷ সুমাইয়া আক্তার রিশা

৬২৷ নুসনি আক্তার নিশা

৬৩৷ আশরাফুল ইসলাম মিলন

৬৪৷ আমজাদুল হক শাওন

৬৫৷ আবু সাঈদ হৃদয়

৬৬৷ নাহার“ন নূর মরমী

৬৮৷ ইসমত তারা শ্রাবনী

৬৯৷ কাজী সুরাইয়া আক্তার দিপা

৭০৷ রোকসানা আক্তার আন্নি

৭১৷ নিশাত তাসনিম মনি

৭২৷ শ্রাবনী হায়াত

৭৩৷ নূরে জান্নাত আইরিন

৭৪৷ রইসুল ইসলাম
 
৭৫৷ সুধা সুলতানা

৭৬৷ মাহাবুবা

৭৭৷ রিদওয়ান আজম ঈসাধ

৭৮৷ হুরিয়াদ আক্তার কেমি

৭৯৷ রাহি আল আউয়াল

৮০৷ ফারিয়া তাবাচ্ছুম প্রভা

৮১৷ সাদিয়া আলিয়া তামান্না

৮২৷ সামিহা শারমিন ক্যাথি

৮৩৷ আনিকা হক জিসা

৮৪৷ ফারিহা হক জুই

৮৫৷ সিনথিয়া তাবাচ্ছুম রোজ

৮৬৷ আদিয়াত আলম স্নেহা

৮৭৷ খোরশেদ আলম

৮৮ ৷ সুখী সুলতানা

৮৯৷ এ. িব.এম আশাদুল আলম প্রধান

৯০৷ নাছুমা আক্তার লাজী

৯১৷ রাবেয়া আক্তার

৯২৷ মজিবুল ইসলাম
Read more...

যোগাযোগ

0 comments
প্রধান কার্যালয় 
ইসলামীয়া লাইব্রেরী, কলেজ রোড, চিলাহাটি ।
মোবা : 01710605871 (সম্পাদক ),
 01740819947 (সহ:সম্পাদক ),
 01723067858 (বিঙ্গাপন ),
 ই-মেইল : surjodoy08@gmail.com

সৈয়দপুর অফিস
মনন হলিমিডিয়া,
শহীদ ডা.জিকরুল হক রোড, সৈয়দপুর ।
মোবা : 01717727231

রাণীরবন্দর অফিস
রাণীরবন্দর আঞ্চলিক প্রেস ক্লাব,
 রাণীরবন্দর- দিনাজপুর ।
 মোবা : 01716246322

পাবনা অফিস 
 হিরিন্দাবাজার, কুয়াবাসি,
চাটমোহর, পাবনা- ৬৬১০ ।
 মোবা : 01713767157

 ঢাকা অফিস 
৩১/৩২ বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০ ।
মোবা : 01715795075
Read more...

অকৃত্রিম

0 comments
একতা একটি ছোট পাখি একটি সাদা গোলাপের প্রেমে পড়লো৷ পাখিটি রোজ গোলাপ টির কাছে আসতো এবং বিভিন্ন ভাব ভঙ্গিমায় তার মনের ভাব প্রকাশ করতো কিন্তু গোলাপটি সবকিছু বুঝেও না বুঝার ভান করতো৷
একদিন পাখিটি গোলাপটিকে বলেই ফেললো৷ কিন্তু গোলাপটি তার প্রস্—াব মেনে নিলোনা ৷ পাখিটি রোজ আসতো এবং বলতো৷ একদিন গোলাপটি পাখিটিকে বললো৷
যে দিন আমি সাদা রং থেকে লাল রঙে পরিনত হব সে দিনেই আমি তোমাকে ভালোবাসবো৷ পাখি টি জানতো সে কোন দিন সাদা রঙে পরিনত হবে না৷ তাই একদিন পাখির গোলাপটির কাছে আসলো এবং অনেক ¶ণ তাকিয়ে থাকলো৷ এবং পড়ে তার দুটি ডানা কেটে রক্ত ছিটিয়ে গোলাপটি তখন বুঝতে পারলো যে পাখিটি তাকে কতখানি ভালোবাসতো৷ কিন্তু তাতে অনেক দেরি হয়ে গেছে৷ ডানা কাটার ফলে পাখিটি মওে গেেতাই তোমাদের ভালোবাসাকে বুঝতে চেষ্ঠাকর এবং তাকে কথনো হারাতে দিও না ৷




 আবতাহী তানভীর,
 ঢাকা৷
Read more...

Sunday, December 16, 2012

কাসা পিতলের ছোট্ট দেশ গোমনাতি একসময় শোনা যেত বাষের গর্জন

0 comments
আপেল বসুনীয়া : ফাতেমা বেগমের কানে এখনও ধব্বনি হয় ওই ডাক৷ কেউ কেউ বলেন বাষের গর্জন৷কিশোরী বয়সে যখন বউ হয়ে আসেন গোমনাতিতে তখন ভীত হয়েছিলেন ওই শব্দ শুনে৷বয়সের ছাপ পড়েছে তার শরীরে৷ ছেলে-মেয়েদেও বিয়ে দিয়েছেন৷ তবুও ভেঙ্গে পড়েননি৷সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেন৷তারপরও অভাব পিছু ছাড়েনা৷ ফাতেমা বেগমের বাবার বাড়ী ডিমলা উপজেলার ছাতনাই ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে৷ এটি প্রত্যন্— গাঁ৷ওই গময় অজোপাড়াগাঁয়ে ছিলনা বিদ্যুত্, পাকা রাস্—াও ছিলনা৷মেঠো পথে চলত পর“-মহিষের গাড়ী৷ গর“গাড়ীতে চেপে যখন শ্বশুরবাড়ী আসেন ফাতেমা, তখন চোখ ছিল তার স্বপ্ন৷কাসা-পিতলের যেন ছোট্ট দেশ গোমনাতি৷ ডোমার উপজেলার একটি ইউনিয়ন৷ এক সময় রংপুর জেলার ভূগোলে লেখা গোমনাতি কাসা-পিতলের জন্য বিখ্যাত৷এখানে চমত্কার বাসনপত্র তৈরী হতো৷ ফাতেমা বেগমের শ্বশুর মরহুম আঃ হামিদের ছিল ওমর কাসা-পিতলের বাসনপত্র তৈরীর কারখানা৷ তিনি ব্যবসা করতেন ঘোড়ায় চড়ে৷ ছিল আবাদি জমি৷ফাতেমার স্বামী আতিয়ার রহমানও ছিলেন একই পেশায় জড়িত৷বেশ সচ্ছল ছিল ওদের পরিবার৷ আস্—ে আস্—ে বিলুপ্ত হতে থাকে কাসা-ডিতলের বাসনপত্র৷যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলে আসে এলুমিনিয়াম, িস্টল, প¬াস্টিক আর মেলামাইন৷ যদিও এখানে হিন্দুদের বিয়েতে প্রথা অনুযায়ী কাসার বাসন দরকার হয়৷কিন্তু দাম খুব বেশী৷ এক সময় আভিজাত্য প্রকাশ পেত কার কতটা কাসা-পিতলের বাসনপত্র আছে৷স্বাধীনতা উত্তর দু’বছর পরও গোমনাতিতে এই ব্যবসা ছিল রমরমা৷ অকে ব্যবসায়ীর বসবাস ছিল এই ইউনিয়নটিতে৷ কথিত আছে এই এলাকা ঘুওে গেছেন তত্কালীন পাকিস্—ানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন৷
সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখানে সফওে এসেছিলেন ১৯৯৪ সালে৷ এই এলাকার বাসিন্দারা তাকে (প্রধানমন্ত্রী) উপহার দিয়েছিল জুড়ানো কাসার উপঢৌকন৷ প্রধানমন্ত্রী বিলুপ্ত হওয়া কাসা-পিতল তৈরীর কাজে নিয়োজিত পেশাজীবীর সাহায্যেও জন্য হাত বাড়ান৷ কিন্— চাহিদা না থাকায় ওরা এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়ে৷ এখন মাত্র ১৫টি ওমর পরিবার এখানে বসবাস করে৷ এরা হলো সহিদুল ইসলাম, নূও মোহাম্মদ, আনিছুর রহমান, জহির“ল হক, নজর“ল ইসলাম, লতিফর রহমান, মশিয়ার রহমান, মমতাজ আলী, লুত্ফর রহমান, আবু হোসেন বুলু, খায়র“ল ইসলাম, ওয়ালেব, খোকাবুড়া ওসমান আলী ও রফিকুল ইসলাম৷ এদের সহিদুল ইসলাম করেন বাঁশের ব্যবসা৷ তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন৷ বড় ছেলে নূরজ্জামান (২৪) ৮ শ্রেণী পর্যন্— পড়েছিল৷ কাসা-পিতলের বাসন তৈরী করতে জানতো সে৷ এসএসসি পাস করা মেয়ে সবিনা পারভীনের (২২) বিয়ে দিয়েছেন৷ ৩য় সন্—ান কামর“জ্জামান পড়ে দশম শ্রেণীতে৷ সবচেয়ে ছোট মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন ৮ম শ্রেণীতে পড়ে৷ সহিদুল বলেন,আমি ছিলাম সবচেয়ে বড় কাসা-পিতলের মহাজান৷ কাসা-পিতলের বাসনপত্র তৈরীতে পটু ছিলেন রফিকুল (৪৮)৷ তার হাতের গড়া জগ,বাটি,পানের ডাবলা,থালা ছিল চোখ ধাঁধানো৷ সবচেয়ে বেশী চাহিদা ছিল হামুদাস্—া৷ এখন গোটা ইউনিয়ন মিলে ওমর ১০/১২টা বাসনপত্র পাওয়া যাবেনা৷ বর্তমানে এলুমিয়ামের বাসনপত্র তৈরী করেন তিনি৷ কিন্— আগের মতো সচ্ছলতা নেই৷তিনি জানান, কাসা-পিতলের কাঁচামাল ওরা সংগ্রহ করতেন ভারতের হলদিবাড়ী, জলপাইগুড়ি, কচুবিহার হতে৷ মাটির ফ্রেমের মধ্যে গলানো কাসা-পিতল দেয়া হতো৷তারপর আস্—ে আস্—ে কওে তৈরী করা হতো সুদৃশ্য বাসনপত্র৷নয়ন জড়ানো এসব জিনিস ছিল ধনীদের ঘরে৷ কাসা-পিতল গলানোর জন্য ছিল আলাদা চিমনি৷ কয়লা ছিল এর প্রধান জ্বালানী৷ এখন কাসার দাম প্রতি কেজি সাড়ে ৮শ টাকা৷ আগে ছিল ৫০/৬০ টাকা৷ আর এক কারিগর দোলোয়ার হোসেন৷ তার মেয়ে মরিয়ম আক্তার র“মী৷ একই এলকার শহীদ জিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা ওর কাছে কাসা-পিতলের কথা রূপকথা গল্পের মতো লাগে৷ সে বলে, শুনেছি দাদাদের ছিল ওই কাসা-পিতল বাসনপত্র তৈরীর কারখানা৷ আমাদের কোন অভাব ছিলনা৷ খোকাবুড়ার স্ত্রী মফেজা (৬০) বললেন, তখন আমাদের এমন অবস্থা ছিল যে মেয়ের বিয়েতে দিয়েছিলাম কয়েক ভরি সোনার গহনা৷ এখন মেয়েরা বাপের বাড়ীতে বেড়াতে এলে আমাদের সাথে উপোস থাকে৷
ওই এলাকার প্রবীণ চিকিত্সক মজিবর রহমান এবং দ¶িণ আমবাড়ী গ্রামের যুবনেতা শাহাজাহান সরকার বাচ্চু জানান, সত্যিই কাসা-পিতলের বাসনপত্র তৈরীর শব্দ মতো বাষের গর্জন৷ এখাকার তৈরী বাসনপত্র রপ্তানি হতো বিভিন্ন জেলায় এমনকি ভারতে সওদা হতো বেশী৷ কাসা-পিতলের বাসনপত্র হারিয়ে গেছে৷ এই পেশা ছেড়ে কেউ শি¶কতা, েকউবা ভ্যানচালক, কেউবা রিকশা- সাইকেলের মেকার, কেউ দিনমজুর হিসেবে কাজ করে৷ অধিকাংশের সচ্ছলতা নেই৷পুণর্বাসনের সুযোগও হয়নি৷ কিন্— ঐতিহ্য ছিল৷ তখন আজকের মতো ছিলনা পাকা সড়ক, িবদ্যুত্সহ দুরালাপনী ব্যবস্থা৷
ফাতেমা বেগমের স্বামী এখন পুরাতন বাসনপত্রের মেরামতের কাজ করেন৷ অনেকটা ফেরিওয়ালা হিসেবে৷পাঁচ সদস্যের পরিবারের নিজের ভিটেটুকু নেই৷ অভাবের তাড়নায় বেচে দিয়েছে ওরা সহায়-সম্বল৷ কখনও কখনও আধাবেলা না খেয়ে চলছে জীবনযাপন৷
কিন্— ফাতেমা বেগম ভূলতে পারেননি সেই স্মৃতি৷ এখনও তিনি শুনতে পান ওই বাষের গর্জন৷
Read more...